
টাঙ্গাইলের আলোচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সৃষ্টিশিক্ষা পরিবার’ ও এর চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রিপন-এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছে ভয়াবহ সব অভিযোগ। ৩০ বছর ধরে শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করে প্রতিষ্ঠানটির শাখা বিস্তার ঘটিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন—এমন অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।শিক্ষার্থী নির্যাতনে মৃত্যুর ভয়াবহ অভিযোগপ্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো শিক্ষার্থী নির্যাতন ও মৃত্যু।গত বছর টাঙ্গাইল শাখায় এক ছাত্রকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠে।ঢাকার আরেক শাখায় উচ্চতা থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে, যা নিয়েও প্রশ্ন ও অসন্তোষ রয়েছে অভিভাবকদের মাঝে।এই সব ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা টাঙ্গাইলে ভিক্ষুক সমাবেশ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে দ্রুত বিচার দাবি করেন।অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও প্রতারণাস্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শরিফুল ইসলাম রিপন দুনিয়া নানান অজুহাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন।প্রতিষ্ঠানে কোচিং ও প্রাইভেট পড়া বাধ্যতামূলক করে শিক্ষার নামে চলছে বাণিজ্য।বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সঙ্গে অপমানজনক ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকির অভিযোগও রয়েছে।বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপুল অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও, এর মাধ্যমে বৃহৎ আকারে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার নামে সংগ্রহ করা টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে তার কোনো স্বচ্ছতা নেই।স্ত্রীর নামে বিপুল অবৈধ সম্পদ এছাড়া তদন্তে জানা যায়, শরিফুল ইসলাম রিপন দুনিয়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ, যা প্রশ্ন তোলে এই অর্থের উৎস নিয়ে।অভিভাবকদের দাবি: দ্রুত তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত হোক অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন—এমন ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্যাতন এবং মৃত্যুর পরও যদি সৃষ্টিশিক্ষা পরিবার এবং এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।তারা সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এনায়েত করিম 


















